প্রচন্ড গরমের পর শীতল অনুভূতি:কালো মেঘের আনাগোনা---
আজ রোজ মঙ্গলবার ২০১৮ ইং, ২০শে রমজান,গত দু’এক দিনের প্রচন্ড গরম অনুভব করার পর আজ প্রকৃতি কিছুটা শীতল।
| আমার বাসার ব্যালকনি থেকে তোলা ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে আকাশ ধীরে ধীরে কালো মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে।  | 
কড়া রোদের অসস্থিকর গরমে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়।যদিও ষড়ঋতুর প্রতিটি মূহুর্তের প্রতিটি ক্ষণ খুবই উপভোগ করি।কিন্তু শুধু চোখ ধাধানো রোদের দিন একেবারেই কাটতে চাইনা। ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান বলে মনে হয়।আজ মেঘ আর রোদের আকাশটা দখলের পাল্টপাল্টি খেলা চলছে।কখনো মেঘের দাপট তো কখনো রোদের দাপট।গতকাল রাতে অবশ্য এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিলো,আর তাতেই তারাবি নামাজের পর এক ঘুমেই একেবারে সেহেরীর সময় উঠা।ষড়ঋতুর প্রতিটি দিন ,প্রতিটি সময় আমি খুব অনুভব করি।তবে ষড়ঋতুর প্রতিটি রং ঢং বেশী অনুভুত হয় আমি মনে করি গ্রামীন জীবনে।আমি আমার শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছি শরতের স্বচ্চ সাদা মেঘের নিচে  মিষ্টি মধুর বাতাসের দোল খাওয়া ধানখেতের পাশে।তবে অনুভুতির দরজা খোলা থাকলেই প্রকৃতির অবিরাম রং পাল্টানিটা চোখে পড়ে।যেটা নিয়ে লিখতে বসেছি সেটাই হারিয়ে ফেলতে যাচ্ছি।গতকাল সন্ধ্যায় বৃষ্টি আসার ঠিক আগ মূহুর্তে  আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল।ঘন কালো মেঘে ঢাকা আকাশ দেখলে মনটা কেমন যেন রোমাঞ্চিত হয়ে উঠে।এই কালো মেঘ নিয়ে কালীদাস ,রবীন্দ্রনাথ,,শরৎচন্দ্র,জীবনান্দ থেকে শূরূ করে হুমায়ুন আহমেদ কতইনা  রোমান্টিক লেখা লিখেছেন।এইসব ভেবে কালো মেঘ দেখলে জীবনের প্রতি আরো বেশী ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ি।আকাশে কালো মেঘের রুদ্রমূর্তি দেখলে ঘরকূণো হয়ে যায়।পরিবারের প্রিয় মানুষটিকে একা ফেলে আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করেনা।শূধূই তার পাশে পাশে থাকতে মন চায় আর তার হাতের তৈরী চা পান করে করে আগামীর সুখময় ভাবনায় দিন কেটে যায়।ঘন কালো মেঘ আমাকে যাদু করেছে !কেউ আমাকে উদ্ধার করুন।অন্য কোন সময় শরতের সাদা মেঘ ও কাশবন,হেমন্তের শীতের আগমনী ও মাঘ মাসের কনকনে শীতের রোমাঞ্চিত অনুভব নিয়ে লিখব। 
| প্রচন্ড রোদের মধ্যে আগ্রাবাদের আবাসিক বিল্ডিংগুলো অসহায়------ | 

0 Comments